শিক্ষককে শুভেচ্ছা জানাও। গত সেশনগুলোতে তোমরা ঈশ্বরের মহা পরিকল্পনা অনুযায়ী কীভাবে বাপ্তিস্মদাতা যোহন এবং যীশু জন্মগ্রহণ করেছেন তা জানতে পেরেছ। আজ শিক্ষক তোমাদের একটি মজার কাজ দিবেন।
সুন্দর একটি ছবি আঁকো
মারিয়ার গর্ভে মুক্তিদাতা যীশুর জন্ম, এ সুসংবাদ দিতে ইলীশাবেতের বাড়িতে মারিয়া এ বিষয়ের ওপর তুমি নিশ্চয়ই একটি ছবি আঁকতে পারবে। তুমি কল্পনা কর যে মারিয়া পাহাড়ি পথ দিয়ে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে। তারপর ইলীশাবেতের বাড়িতে পৌঁছে গেছে, ইলীশাবেত ঘর থেকে বেরিয়ে বোনকে অর্থাৎ মুক্তিদাতার মাকে উৎফুল্ল হয়ে জড়িয়ে ধরেছে। তোমার অন্য সহপাঠীরাও ছবি আঁকছে। নির্দিষ্ট সময়ে ছবি আঁকা শেষ হলে শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী বুলেটিন বোর্ডে লাগিয়ে দাও। তারপর অন্যদের ছবিগুলো লক্ষ করো । তোমাদের সবার আঁকা ছবিই ভিন্ন ভিন্নভাবে সুন্দর হয়েছে, তাই না? কারণ তোমাদের কল্পনা ভিন্ন ভিন্ন।
বাড়ির কাজ
শিক্ষক তোমাদের ৪/৬টি দলে ভাগ করবেন। নিজ দলের দলনেতা নিজেরাই তৈরি করবে। অভিনয়ের বিষয়বস্তু – সখরিয়ের সাথে স্বর্গদূতের এবং ইলীশাবেতের সাথে মারিয়ার কথোপকথন। দুটি বিষয় থেকে তোমার দল যেকোনো একটি বিষয় বেছে নিবে। তুমি মনে মনে ঠিক করে ফেলো কোন চরিত্রে তুমি অভিনয় করবে। নির্দিষ্ট সময় পরে শিক্ষকের কাছে script জমা দাও। তিনি প্রয়োজনীয় সংশোধন দিবেন। শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিনয়ের জন্য পরবর্তী সেশনে প্রস্তুত হয়ে আসবে।
দলে তোমার যে চরিত্রটি পড়েছে তার সাপেক্ষে যে পোশাকটি হতে পারে সেটাও নির্বাচন করে ফেলো। প্রয়োজনে তোমার শিক্ষক বা পিতা-মাতা/অভিভাবকের সাহায্য নাও। একটা বিষয় হতে পারে যে, সেই সময় মানুষেরা কেমন পোশাক পরিধান করত সেটা তুমি জেনে নিতে পারো এবং এরপর চেষ্টা করতে পারো যে ওরকম পোশাকের ব্যবস্থা তুমি করতে পারো কি না ।
আরও দেখুন...